সিলেট শহরতলীর মেজরটিলার চামিলীবাগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর এক্সপ্রেসের ধাক্কায় একটি লেগুনা খাদে পড়ে গেলে লেগুনার যাত্রী কুলসুমা বেগম (৪০) নামক এক মহিলা নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় চামিলাবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত কুলসুমা বেগম সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আবু আলী গ্রামের মুজাম্মিল আলীর স্ত্রী। তবে আহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সিলেট থেকে বটেশ্বরগামী একটি লেগুনা দিয়ে যাচ্ছিলেন কুলসুমা। পিছন থেকে আসা নগর এক্সপ্রেসের একটি যাত্রীবাহী টাউন বাস (সিলেট-জ- ১১-০০১৪) ধাক্কা দিলে লেগুনাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। লেগুনার যাত্রী কুলসুমা বেগম দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আর পাঁচযাত্রী আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে। প্রায় আধাঘন্টা সড়ক অবরোধের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে যায়। বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুলসুমা বেগমের ভাই দাউদপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের আহবায়ক মোঃ জামাল হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘাতক নগর এক্সপ্রেসের অদক্ষ ড্রাইভার এর কারণে আমি আমার বোনকে হারিয়েছি। ঘাতক গাড়ির ড্রাইভারকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানান। যাতে আর কোন ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় বোনকে না হরায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল কাইয়ূম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি